সেদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিসলাম তার গাড়িটা। আর এই ধার-করা গাড়ি হাঁকিয়ে কুটুমবাড়ি বেড়াইতে যাইতে চাইবার পিছে একটা মতলব ছিল এ-ই যে এতে করে আমার পতিদেব যদি স্ত্রীর গাড়িশখ দেখে একটা গাড়িয়াল হবার দিকে একটু উদ্যোগী হয়। এবং গাড়ি জিনিশটা যে একদম শখাহ্লাদের জিনিশ নয়, নিতান্তই দরকারি জিনিশ, এইটাও বুঝাইতে চাইতেসিলাম। ধার-করা গাড়ি চড়ার পয়লা দিনেই তিন-তিনটা পার্কিং লটের টিকেট খাইতে হইসে।
এমন একখানা ছায়াছবিতে পার্ট নিবার চান্স পাইলে হ্যাপি হতাম আমি যেইখানে একবারও চুলের জন্য খোঁটা খাইতে হবে না আমারে। আমার অভিনীত ম্যুভিগুলার ম্যানেজারেরা হামেশাই বলেন আমার চুলের মইধ্যে নাকি ডিপ্রেসিং কিছু-একটা আছে যা আস্ত ম্যুভিটারেই বিষণ্ণ করে ফ্যালে। এইটা তারা মিছা বলেন না। মানে, আমি বলতে চাইতেসি, ঘটনা সত্য।
শাশুড়িআম্মার লগে গেসিলাম ডিনার করতে একটা রেস্টোরান্টে। টেবিলভর্তি খানাখাদ্যি নিয়া সারতেসি ডিনার, হঠাৎ খিয়াল কইরা দেখি কি যে একলাই আমি তারে অট্টগলায় কথাকৌতুক শুনায়া যাইতেসি আর প্রত্যেকটা কথায় তার কাছ থিকা তারিফ এক্সপেক্ট করতেসি। রিয়্যালাইজ করলাম পরে যে প্রত্যেকদিন অন্তত একবার করে নিজের লগে নিজের কথা বলবার রিহার্স্যাল করা দরকার। তা না-হলে চিল-আউট করবার মোমেন্টগুলারে এইভাবে অঙ্কুরে বিনষ্ট করাই হবে খালি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- রিপন মিয়ার জীবন ও সাহিত্য || কাজল দাস - October 14, 2025
- চেজিং হোমার / লাসলো ক্রাসনাহোরকাই || অনুবাদ / কয়েস সামী - October 13, 2025
- আহমদ রফিক : শতবর্ষী বিরিখের প্রস্থান - October 13, 2025
COMMENTS